শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

স্বদেশ ডেস্ক:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’।

গতকাল শনিবার সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগির সংবাদ এখন সারা দেশের সবচেয়ে আলোচিত সংবাদ। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুটপাটের ঘটনায় দেশের প্রথম নারী উপাচার্যের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অনেকের মনে কিঞ্চিৎ সংশয় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের “খোলা চিঠি” নিশ্চিত বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এ অবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্ত এই উপাচার্যের আর স্বপদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। উপাচার্য ও তার পরিবারের দুর্নীতির নানা খবর কারোরই অজানা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অসম্মান করা, কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য-এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হিসেবে উপাচার্যের স্বামীর দায়িত্ব পালন (বাংলাদেশে মহিলা ক্লাবের প্রথম পুরুষ সভাপতি হিসেবে তিনি ইতিহাস গড়েছেন) ও লেডিস ক্লাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে নীতি ভঙ্গ করে অর্থ লুটপাট ইত্যাদি সংবাদ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’

জাবি শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের খোলা চিঠি উপাচার্যের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে যা জানতে পেরেছি, তাতে প্রমাণিত হয়, অধ্যাপক ফারজানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

এ দিকে দুর্নীতির অভিযোগে চলমান আন্দোলন নিয়ে উপাচার্যের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার ‘৪ থেকে ৬ শতাংশ‘ চাঁদা জাবি উপাচার্যের কাছে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এই অভিযোগ যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও। পরে এমন নানা অভিযোগে গতকাল শনিবার রাতে ছাত্রলীগের পদ থেকে শোভন ও রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের জায়গায় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877